প্রকাশিত:
৫ ঘন্টা আগে
তিনি বলেন, ‘সোমবার জিম্মিরা বাড়ি ফিরবে। তারা ভয়াবহ জায়গায় আছেন। কোথায় আছেন, খুব কম মানুষই জানেন। বন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ২৮টি মরদেহও পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ইসরায়েলে যাবো। নেসেটে বক্তব্য দেবো। মিশরেও যাবো। সেখানে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। সারা বিশ্ব থেকে আরও অনেক নেতা আসবেন। তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার রাতে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলিকে (জীবিত ও মরদেহ) মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। তিনি আরও বলেন, তারা এখনই কাজ শুরু করেছে। অনেক মরদেহ খুঁজে বের করা হচ্ছে। এটা এক বিশাল ট্র্যাজেডি।
ট্রাম্প জানান, জীবিত বন্দিদের অনেকেই ‘অত্যন্ত কঠিন স্থানে’ রয়েছেন। মাত্র অল্প কয়েকজনই জানেন যে, তারা কোথায় আছেন। তিনি আরও জানান, চলতি সপ্তাহে তিনি কায়রো সফরে যাচ্ছেন এবং পরবর্তীতে তিনি ইসরায়েলে সফর করবেন এবং দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েল সরকার শুক্রবার ভোরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এরপরই ইসরায়েলি সেনারা গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে সরে আসা শুরু করে এবং বন্দি মুক্তির সময়সীমা গণনা শুরু হয়।
তবে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস হয়তো সব মৃত বন্দির দেহ উদ্ধার করতে সমস্যায় পড়ছে, যা সোমবারের নির্ধারিত বন্দি বিনিময়ে জটিলতা তৈরি করতে পারে।
ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর শুক্রবার ফিলিস্তিনিরা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত ঘরে ফিরে যাচ্ছিল, তখন গাজার ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন এখনো অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
তবুও ট্রাম্প আশাবাদী সুরে বলেন, হামাস ও ইসরায়েল-উভয়ই লড়াইয়ে ক্লান্ত। তিনি জানান, বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, কিছু বিস্তারিত বিষয় পরবর্তী আলোচনায় মীমাংসা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরান ও রাশিয়ার সমর্থনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, এই শান্তি পরিকল্পনা গাজার বাইরেও বিস্তৃত হবে। তার ভাষায়, এটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনছে এবং এটি একটি সুন্দর বিষয়।